গেল কয়েক মাস ধরেই উত্তাপ বেড়েছে লাদাখ সীমান্তে। চীন-ভারত দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। এবার সেই লাদাখ সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল পাতছে চীন।
সরকারের দুই শীর্ষ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি-র একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। উপগ্রহ চিত্র থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এমন তথ্য এসেছে।
চীনের এই পদক্ষেপ দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কূটনৈতিক স্তরে যতই উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলুক না কেন, লাদাখে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাতের পরিস্থিতি বজায় রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করলে অনেক নিরাপদভাবে তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়৷ যা সহজে চুরি করা যায় না।
ফরওয়ার্ড পোস্টে থাকা বাহিনীর সঙ্গে সেনাঘাঁটির যোগাযোগ রক্ষার জন্যই অপটিক্যাল ফাইবার কেবল পাতা হচ্ছে।
আপাতত প্যাংগং তাসো লেকের দক্ষিণে নিজেদের এলাকায় এই ধরনের কেবলের ফাঁদ পাতার কাজ চীন শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইলে কোন মেলেনি।
এই মুহূর্তে প্যাংগং তাসো লেকের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি জায়গায় মাত্র কয়েকশো মিটারের ব্যবধানে অবস্থান করছে চীন এবং ভারতের সেনাবাহিনী।
এই অবস্থায় অপটিকাল ফাইবার কেবলের মাধ্যমে চীনা সেনারা দ্রুত তথ্যের আদান-প্রদান করতে সক্ষম হলে তা ভারতীয় বাহিনীর কাছে উদ্বেগেরই বিষয়।
এক সরকারি কর্মকর্তার দাবি, কয়েক মাস আগে প্যাংগং তাসো লেকের উত্তর দিকেও চীনা ভূখণ্ডের মধ্যে একই ধরনের কেবল পাতা রয়েছে বলে জানতে পেরেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
এবার প্যাংগং লেকের দক্ষিণে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সেই কাজ সারছে চীন৷
যোগাযোগ রক্ষার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী রেডিও কমিউনিকেশনের উপরেই নির্ভরশীল। এই যোগাযোগের মাধ্যমে কী তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে, শত্রুপক্ষ আঁড়ি পেতে তা জেনে নিতে পারে।
কিন্তু অপটিক্যাল ফাইবারের ক্ষেত্রে সে রকম কোনও আশঙ্কা নেই বললেই চলে। পাশাপাশি অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ছবি, ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করা সম্ভব।